কেবল রোজার সময় নয়, খেজুর খাওয়া উচিত সারা বছরই। কারণ সুমিষ্ট ফলটির দারুণ কিছু উপকারিতা রয়েছে। খেজুর ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। এছাড়া বেশ কিছু ভিটামিন এবং খনিজও রয়েছে এতে। আয়রন, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়ামসহ নানান ধরনের পুষ্টি উপাদানে ভরপুর খেজুর নিয়মিত খেলে দূরে থাকা যায় বিভিন্ন রোগ থেকে। জেনে নিন খেজুর খাওয়ার কিছু উপকারিতা সম্পর্কে।
১. খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করতে এবং রক্তে শর্করাকে নিয়ন্ত্রণ
করতে কার্যকর।
২. খেজুরে বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা কিছু দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতা যেমন হৃদরোগ, ক্যানসার, আলঝেইমার এবং ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সহায়তা করতে পারে।
৩. মিষ্টি স্বাদের কারণে সাদা চিনির একটি স্বাস্থ্যকর বিকল্প হতে পারে খেজুর।
৪. খেজুরে ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়ামসহ বেশ কিছু খনিজ রয়েছে। অস্টিওপোরোসিসের মতো হাড়ের রোগ প্রতিরোধ করতে পারে খেজুর।
৫. খেজুরে থাকা পটাশিয়াম হৃদ্রোগ প্রতিরোধ করে এবং এলডিএল (ক্ষতিকর) কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমায়।
৬. খেজুরে রয়েছে ফসফরাস যা মস্তিষ্কের সুস্থতার জন্য অপরিহার্য।
৭. রক্তস্বল্পতায় ভোগা রোগীদের জন্য খেজুর খুবই উপকারী। একজন সুস্থ মানুষের শরীরে যতটুকু আয়রন প্রয়োজন, তার প্রায় ১১ ভাগ পূরণ করে খেজুর।
৮. খেজুরে থাকা ফ্রুকটোজ বা প্রাকৃতিক চিনি আমাদের এনার্জি জোগাতে সহায়তা করে।
৯. নিয়মিত খেজুর খেলে ত্বক ভালো থাকে। ত্বকের শুষ্কতা রোধ করার পাশাপাশি বলিরেখা প্রতিরোধে কার্যকর এই ফল।
১০. নিয়মিতণ খেজুর খেলে যকৃতের রোগ কম হয়।